আমাদের নিকলী ডেস্ক ।।
ফরিদপুর জিলা স্কুলের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা হাওর অঞ্চলের দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। তারা টিফিনে না খেয়ে পয়সা বাঁচিয়ে দুর্গত মানুষের জন্য ১১ হাজার ৬৮৪ টাকা জমা করেছে। সেই টাকা ফরিদপুরের জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে সুনামগঞ্জে পাঠিয়েছে।
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক উম্মে সালমা তানজিয়ার হাতে রোববার ১৪ মে সন্ধ্যায় এই টাকা তুলে দেয়া হয়েছে। এ সময় মূল উদ্যোক্তা নবম শ্রেণির ছাত্র কে এম মশিউর রহমান ও জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক মণি মোহন বিশ্বাস উপস্থিত ছিলেন।
কে এম মশিউর রহমান বলে, ‘১ মে এক সেমিনারে হাওর অঞ্চলের দুর্গত মানুষের অবস্থা তুলে ধরে তাদের সহায়তার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান জেলা প্রশাসক। ওই সেমিনারে আমি উপস্থিত ছিলাম। হাওর অঞ্চলের মানুষের দুঃখ-দুর্দশার কথা শুনে আমি ব্যথিত হই। পরে স্কুলের প্রধান শিক্ষককে জানিয়ে স্কুলের ছাত্রদের কাছ থেকে টাকা তোলা শুরু করি। ছাত্ররা টিফিন খরচের টাকা বাঁচিয়ে হাওরের দুর্গত মানুষের জন্য সাহায্য দেয়। এভাবেই এক সপ্তাহে মোট ১১ হাজার ৬৮৪ টাকা সংগ্রহ হয়।
জেলা প্রশাসক উম্মে সালমা তানজিয়া বলেন, ওই সেমিনারে অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু জিলা স্কুলের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা মহানুভবতার যে পরিচয় দিয়েছে, তা একটি মানবতার দৃষ্টান্ত হয়ে রইল।
ফরিদপুরের ডেপুটি কালেক্টর নেজারত (এনডিসি) মো. পারভেজ মল্লিক প্রথম আলোকে জানান, ফরিদপুর জিলা স্কুলের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে পাওয়া ওই টাকা সোমবার ১৫ মে বিকাশ করে সুনামগঞ্জের এনডিসির কাছে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসকের কাছে এ–সংক্রান্ত বার্তাটি ফ্যাক্স করা হয়েছে।
সূত্র : হাওরবাসীর জন্য স্কুলশিক্ষার্থীদের ভালোবাসা (প্রথম আলো, ১৫ মে ২০১৭)