নিজস্ব প্রতিবেদক ।।
বাংলাদেশ রেলওয়ের টিকিট কালোবাজারি যেন থামছেই না। নানান আয়োজন, অভিযোগ, প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও চলেই আসছে এহেন কর্মকাণ্ড।
রাজধানী ঢাকা থেকে শুরু করে প্রায় প্রতিটি স্টেশনেই মিলছে একই চিত্র। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের বদৌলতে এই প্রতারণার ক্ষেত্রবিশেষে সাধারণ মানুষ জেনেছেন নানান বর্ণণা। দিনশেষে সবার ভাগ্যেই মিলেছে টিকিট না পাওয়ার হতাশা।
এবার রেলওয়ে টিকিট সমস্যা সমাধানে এগিয়ে এসেছেন খোদ সংসদ সদস্য আলহাজ আফজাল হোসেন। তার নির্বাচনী এলাকা নিকলী-বাজিতপুরের অধীনে রয়েছে ২টি স্টেশন, যেখানে আন্তঃনগর ট্রেনগুলো স্টপিজ দিয়ে থাকে। এগুলো হলো- সরারচর ও বাজিতপুর রেলওয়ে স্টেশন।
গতকাল সোমবার (৩ জুলাই) বিকাল ৩টায় সরারচর রেলওয়ে স্টেশনে সংসদ সদস্য আলহাজ আফজাল হোসেনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়েছে সামাজিক সচেতনতামূলক সভা। তার আমন্ত্রণে সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন বাজিতপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, বাজিতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, বাজিতপুর থানার ওসি, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগণ, আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীবৃন্দসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
টিকিট কালোবাজারি ও অনিয়ম রোধকল্পে গৃহীত পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে : টিকেট অনলাইন সিস্টেমে বিক্রির ব্যবস্থা, স্টেশনগুলো সার্বক্ষণিক সিসি ক্যামেরার আওতায় থাকবে, নিরাপত্তা ও অনিয়ম রোধে সার্বক্ষণিক পুলিশ মোতায়েন করা হবে। এছাড়াও সাধারণ যাত্রীদের হয়রানি রোধে সিসি ক্যামেরায় ধারণকৃত ফুটেজ দেখে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের ঘোষণা দেন সংসদ সদস্য আফজাল হোসেন।
সময়ভেদে অনেক নিয়ম-কানুন আর প্রতিশ্রুতি পেয়েছেন এই এলাকার রেলওয়ে ব্যবহারকারী সাধারণ মানুষজন। কিন্তু কোনোটিরই বাস্তবতার মুখ দেখেনি। এবার তারা অপেক্ষায় থাকছে স্থানীয় সর্বোচ্চ জনপ্রতিনিধির আয়োজনের সুফল পেতে।
ছবি সংগ্রহ : রুবেল আহমেদ-এর এফবি টাইমলাইন