যে ৮টি মুসলিম-প্রধান দেশে সমকামিতার বৈধতা রয়েছে

আমাদের নিকলী ডেস্ক ।।

বিশ্বের বেশ কয়েকটি মুসলিম-প্রধান দেশে সমকামিতাকে বৈধতা দেয়া হয়েছে। মূলত রাষ্ট্রীয় ও সামাজিকভাবে ধর্মীয় অনুশাসনগুলো গুরুত্বের সাথে পালনের ফলে আইনে বৈধতা থাকলেও তেমন জনপ্রিয় নেই দেশগুলোয়। ছবিঘরে থাকছে এমনই আটটি দেশের কথা।

তুরস্ক
১৮৫৮ সালে অটোমান সাম্রাজ্য সমকামিতাকে বৈধতা দেয়। এরপর তুরস্ক স্বাধীন হলে সেই আইন বলবৎ রাখে। তবে সে দেশের সংবিধানে সমকামীদের জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা বিধানের ব্যবস্থা না থাকায় সরকারের পক্ষ থেকে যেমন, তেমনি সামাজিকভাবেও সমকামীদের এখনও বৈষম্যের শিকার হতে হয়।

মালি
পশ্চিম আফ্রিকার এই দেশটির সংবিধানে সমকামী কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করা হয়নি। তবে দেশটির প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ সমকামিতা পছন্দ করে না। তাই বৈধ হলেও মালির সমকামীরা বৈষম্যের শিকার হন।

জর্ডান
১৯৫১ সালে দেশটিতে সমকামিতাকে বৈধতা দেয়া হয়। অন্যান্য মুসলিম-প্রধান দেশের তুলনায় সেখানকার সমকামীরা বেশ ভালোই আছে। সরকারও আইন করে সমকামীদের ‘অনার কিলিং’-এর হাত থেকে রক্ষা করেছে।

ইন্দোনেশিয়া
বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মুসলমানের বাস এই দেশটিতে। সেখানকার আইনে সমকামিতাকে অপরাধ বলে গণ্য করা হয়নি। ২০০৩ সালে একবার সেরকম উদ্যোগ নেয়া হলেও সেটি ব্যর্থ হয়।

আলবেনিয়া
দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপের এই দেশটিতে সমকামিতা বৈধ। এমনকি আইন করে সমকামীদের বৈষম্যের হাত থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করা হয়েছে।

বাহরাইন
১৯৭৬ সালে সেখানে সমকামিতাকে আইনগত বৈধতা দেয়। তবে দেশটিতে এখনও প্রকাশ্যে ছেলেরা মেয়েদের, কিংবা মেয়েরা ছেলেদের পোশাক পরতে পারে না।

ফিলিস্তিন (পশ্চিম তীর)
পশ্চিম তীরের জর্ডান অংশে ১৯৫১ সাল থেকে সমকামিতা বৈধ। তবে গাজাতে নয়। মজার ব্যাপার হচ্ছে, গাজায় যে আইনের কারণে সমকামিতা নিষিদ্ধ সেটা বলবৎ হয়েছে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনামলে।

ইরাক
দেশটি সমকামিতাকে বৈধতা দিলেও বিষয়টি এখনও সেখানে ‘ট্যাবু’ হয়েই আছে।

সূত্র : সমকামিতা বৈধ এমন কয়েকটি মুসলিম-প্রধান দেশ  [ডয়চে ভেলে, ২ জুলাই ২০১৭]

Similar Posts

error: Content is protected !!