আমাদের নিকলী ডেস্ক ।।
সামাজিক যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম ‘ফেসবুকের’ কল্যাণে নিখোঁজের ১৪ বছর পর হাফিজুর রহমান তার মাকে ফিরে পেয়েছেন।
শুক্রবার ৭ জুলাই বিকেলে হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার গোড়ামী গ্রামে বাক প্রতিবন্ধী মা রহিমা খাতুনকে (৫৫) ফিরে পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন পুত্র হাফিজুর। এসময় তার বোনজামাই আব্দুল জলিলও শাশুড়িকে কাছে পেয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। বাসস
চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের শৈলবাড়ি গ্রামের মৃত ভরসা মণ্ডলের স্ত্রী বাক প্রতিবন্ধী রহিমা খাতুন স্বজনদের ওপর রাগ করে ২০০৩ সালে বাড়ি থেকে নিরুদ্দেশ হন। নিকট আত্মীয়-স্বজনরা অনেক খোঁজাখুঁজির পরও রহিমা খাতুনের সন্ধান হতাশ হয়ে খোঁজাখুঁজি বন্ধ করে দেন। কিন্তু মাকে হারানোর বেদনা পুত্র হাফিজুর রহমান ভুলতে পারে না।
পেশায় ভ্যানচালক হাফিজুর সময় পেলেই তার মাকে খোঁজে বেড়াতেন। গত ৬ জুলাই খুলনা ক্রিকেট নামীয় ফেসবুক পেইজে নিখোঁজ এক নারীর ছবি দেখতে পায় হাফিজুরের এক ভাগ্নে। বিষয়টি ভাগ্নে তার মামা হাফিজুরকে জানায়। তারা ফেসবুকের লেখা থেকে জানতে পারে এক বাক প্রতিবন্ধী নারী হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাটের গোড়ামী গ্রামের দুলাল তরফদারের বাড়িতে রয়েছেন। ছবি দেখে হাফিজুর তার মাকে চিনতে পারেন। হাফিজুর পরে ফেসবুকের মাধ্যমে মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করে তাৎক্ষণিক তার বোন জামাই আব্দুল জলিলকে সাথে নিয়ে চুয়াডাঙ্গা থেকে হবিগঞ্জের উদ্দেশে রওনা দেয়।
শুক্রবার বিকেলে চুনারুঘাটের গোড়ামী গ্রামে বাক প্রতিবন্ধী নারী হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাটের গোড়ামী গ্রামের দুলাল তরফদারের বাড়িতে পৌঁছে।
বিষয়টি জানার পর দুলাল তরফদারের বাড়িতে লোকজনের ঢল নামে। মাকে পেয়ে হাফিজুর মহাখুশি। সবার উপস্থিতিতে হাফিজুর তার মাকে শনাক্ত করে। তার মাও সন্তানকে বুকে জড়িয়ে ধরেন।
এলাকার মেম্বার মোঃ আব্দুল মান্নান, মুরুব্বী হাজী হাছন আলী, সমাজসেবক আব্দুল মালেক, সায়েম তালুকদারসহ এলাকাবাসীর উপস্থিতিতে দস্তখত দিয়ে মা রহিমা খাতুনকে নিয়ে যান তার সন্তান হাফিজুর।